২০১৬ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে তিনি এই ক্যাম্পটিতে আশ্রয় নেন।
কক্সবাজারের টেকনাফে লেদা ক্যাম্পে দিনেদুপুরে হাতেই খুন হয়েছেন রোহিঙ্গা প্রহরী। গুলি করে ওই প্রহরীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ইয়াবা ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায়, তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব।
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ক্যাম্পটির এফ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের নাম মো. ইয়াসের। তার বাবার নাম মোহাম্মদ ইসলাম। তিনি লেদা ক্যাম্পের এফ ব্লকের বাসিন্দা। ২০১৬ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে তিনি এই ক্যাম্পটিতে আশ্রয় নেন।
রোহিঙ্গারা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে রাতে ইয়াবা পাচারের সময় ইয়াবার একটি চালান স্থানীয় প্রশাসনকে ধরিয়ে দেন কয়েকজন প্রহরী। এরই সূত্র ধরে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাকে হত্যা করতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থী জানান, স্থানীয় রোঙ্গিখালি এলাকার ‘ডাকাত’ সৈয়দ আলম ও তার ভাই রেদওয়ানের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা যুবক ইয়াসেরকে গুলি করা হয়। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে লেদা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া বলেন, “একদল দুর্বৃত্ত একজন রোহিঙ্গা প্রহরীকে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”
টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব জানান, আমাদের শিবিরের একজন প্রহরীকে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই শিবিরে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ইয়াবা ব্যবাসায়ীদের চালাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ইয়াবা ব্যবাসায়ীরা এ কারণেই তাকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মতামত দিন