সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী চালককে ব্রাহ্মনবাড়িয়া স্টেশনে মারধরের ঘটনায় ৩০ মিনিট বন্ধ ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের রেল যোগাযোগ।
ঢাকা থেকে সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী চালককে ব্রাহ্মনবাড়িয়া স্টেশনে মারধরের ঘটনায় ৩০ মিনিট বন্ধ ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের রেল যোগাযোগ। পরবর্তীতে, পুলিশের হস্তক্ষেপে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এ প্রসঙ্গে ট্রেনচালক মো: আনসার আলী জানান, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে একদল যুবক সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের বগিতে উঠতে চাইলে, তাদের বাঁধা দিয়ে নামিয়ে দেন সহকারী চালক মো: আলিম হোসেন এবং এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি দিয়ে ট্রেন থেকে নেমে যায় তারা। পরবর্তীতে, ট্রেনটি ব্রাহ্মনবাড়িয়া স্টেশনে ঢোকার পর, একদল যুবক আচমকা বগিতে প্রবেশ করে ও সহকারী চালককে এলোপাথারি মারধর করে। আহত ট্রেনচালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন।
এদিকে চিকিৎসাধীন ট্রেনচালক মো: আলিম মিয়া বলেন, “ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ইঞ্জিনের বগিতে উঠার বিষয় নিয়ে কয়েকজন যুবককে বাঁধা দিয়েছিলাম আমি। তখন আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা। পরে হুমকির বিষয়টি কন্ট্রোল রুমকে জানিয়েছিলাম। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ব্রাহ্মনবাড়িয়া স্টেশনে ট্রেনটি নিয়ে আসার পরপর যুবকেরা ট্রেনের ইঞ্জিনের বগিতে উঠে আমার ওপর চড়াও হয়। আমাকে এলাকাবাসী ও যাত্রীরা এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।”
এ ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের ২ নম্বর লাইনে ট্রেনটি অবস্থান করার কারণে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম এবং সিলেটের আপ লাইনে ৩০ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের ট্রেনটিকে ১ নম্বর লাইনে নিয়ে আসার পর আবারো ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ প্রসঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: নবীর জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইতোমধ্যে, তাদের খুঁজে বের করার জন্য পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।
মতামত দিন