অধ্যক্ষ ফেন্সি হত্যাকাণ্ডে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে অ্যাড. জহির ও তার ২য় স্ত্রী জুলেখার সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ।
চাঁদপুরে আলোচিত কলেজ অধ্যক্ষ ও মহিলা লীগ নেত্রী শাহীন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকান্ডে তার স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহির“ল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে এ দু’জনের বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।
ঘটনার ২৩ দিন পর বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার তার কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নকারী হিসেবে অ্যাড. জহির“ল ইসলাম এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এখন এর বেশি কিছু বলা যা”েছ না।
তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ হত্যাকান্ডটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনাদের সহযোগিতা চাই। কেউ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিবেন না। আমরা চাই এমন নিষ্ঠুর-নির্মম হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত হোক এবং প্রকৃত খুনির বিচার হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান, ডিবির ওসি আল মামুন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকিরসহ চাঁদপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
এদিকে এই মামলার প্রধান আসামী অ্যাড. জহির খুনের কথা স্বীকার না করলেও পরিকল্পিত এ হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে জুলেখার চাচাতো ভাই মেডিকেল পড়–য়া রাকিবুল হাসান।
গত ৪ জুন সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সির (৫০) রক্তাক্ত মৃতদেহ চাঁদপুর শহরের পাকা মসজিদ এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. জহির“ল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখাকে আটক করা হয়।
মতামত দিন