রাশিয়ায় নেইমারের সময়টা কেমন কেটেছে তা নিয়ে এক কথায় বলবার অবকাশ নেই। আসরে ২টি গোল আর একটি অ্যাসিস্টের পাশাপাশী আসর সর্বোচ্চ ২৭টি ‘শট অন টার্গেট’ করেছেন নেইমার! আবার অতি অভিনয়ে মাঠের গড়াগড়িতে বিরক্তির উদ্রেকও করেছেন এই পিএসজি সুপারস্টার। তবে পারফরম্যান্সের বিচারে নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা পাবেন না এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে ঝামেলা টা পাকলো কোথায় যে মানজুকিচ-পেরিসিচদের পিছনে ফেলে নেইমার ঠাঁই পেলো বিশ্বকাপের সেরা একাদশে?
এই খবরে কাল সংবাদমাধ্যম উত্তপ্ত হয়ে উঠলো। ফরোয়ার্ড হিসেবে এমবাপ্পের নাম নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না। ছিল না ফরোয়ার্ড লাইনে থাকা গ্রিজমান ও হ্যাজার্ডকে নিয়েও। সমস্যাজনক ছিলো চতুর্থ ফরোয়ার্ড হিসেবে নেইমারের নাম থাকাটা। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, মারিও মানজুকিচ, আলেক্সান্দর গোলোভিনদের টপকে নেইমার কোনোভাবেই সেরা একাদশে আসতে পারেন না।
একইভাবে মিডফিল্ডে বিস্ময়কর, সেরা খেলোয়াড় লুকা মদরিচের মিডফিল্ড সঙ্গী থাকবেন কোচের আস্থার কোনো প্রতিদানই দিতে না পারা পাওলিনহো! ফ্রান্সের এনগোলো কান্তে, ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার ইভান রাকিতিচ আর চ্যাম্পিয়ন্দের মিডফিল্ড পল পগবাদের দৌড়ে বিজয়ী কিনা পাওলিনহো!
রক্ষণে অ্যাশলি ইয়াংয়! এরচেয়েও বড় ধাক্কা গোলবারের নিচে থাকা নামটি! গোল্ডেন গ্লাভস জেতা থিবো কোর্তোয়ার বদলে জায়গা পেয়েছেন হুগো লরিস!
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পরার আগেই জানানো হয়েছে, খবরটি ভুয়া। ফিফা জানায়, এখনো তারা বিশ্বকাপের সেরা একাদশ প্রকাশ করেনি।
ফিফার ওয়েবসাইট ভক্তদের প্রিয় দল প্রকাশ করেছে আজ। প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ব্যবহারকারী নিজেদের প্রিয় দল বেছে নিয়ে শীর্ষ ১১ জন নিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ।
তবে ভক্তদের ভোট বলেই হয়তো কিছুটা অসংগতি আছে এই একাদশেও। সিমে ভরসালিয়াকো কিংবা লুকাস হার্নান্দেজকে টপকে জায়গা মিলেছে তাই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলোর। লভরেন বা উমতিতিকে ফেলে থিয়াগো সিলভারও দলে থাকাটা যুক্তিযুক্ত নয়। আর মধ্যমাঠে কান্তে, পগবাদের পরিবর্তে কুতিনহো-ডি ব্রুইনার অন্তর্ভুক্তি প্রশ্ন জাগাবেই।
ফরোয়ার্ড লাইনআপ দেখে একটু আমোদ নিতেই পারেন ফুটবল দর্শকেরা। মদরিচের পেছনে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা ফুটবলার হয়েছেন হ্যাজার্ড ও গ্রিজমানকে হটিয়ে জনপ্রিয়তার খাতিরে বিশ্বকাপ সেরা একাদশ রোনালদো ও হ্যারি কেইন!
